ক্রমাগত বাড়ছে হজযাত্রী, ওমরাহকারী ও দর্শনার্থী। সৌদি আরবে গিয়ে তাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকে পবিত্র জমকম কূপের পানির দিকে। তাদের চাহিদা মেটাতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন এ কূপ থেকে প্রতি এক সেকেন্ডে উত্তোলন করা হচ্ছে ১৯ লিটার পানি। এ তথ্য দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। সৌদি জিওলজিক্যাল সার্ভের প্রেসিডেন্ট জুহের নওয়াব বলেছেন, জমজম কূপের কাহিনী ঐতিহাসিক। এই কূপ শুষ্ক ও মরুময় মক্ক নগরীকে করেছে জনবসতিপূর্ণ একটি শহরে। এ কূপের কাহিনী শুরু হযরত ইব্রাহিম (আ.), তার স্ত্রী বিবি হাজেরা ও তাদের সন্তান ইসমাইলকে কেন্দ্র করে।
কূপটি কয়েক হাজার বছরের পুরনো। তৃষ্ণার্ত এই শহরের পিপাসা মিটানোর জন্য যথেষ্ট পানি সরবরাহ পাওয়া যায় এই কূপ থেকে। অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে এই কূপের কারণে পবিত্র সৌদি আরব সবচেয়ে দর্শনীয় শহরের পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আরব উপসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ মক্কায় আসতেন পবিত্র জমজমের পানি নিতে। এ জন্য তারা ব্যারেল পর্যন্ত নিয়ে আসতেন। সেই পানি নিয়ে তারা ফিরে যেতেন বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের কাছে। নওয়াব বলেন, যারা এই কূপ পরিদর্শন করতে আসেন তাদের সবাইকে জমজমের পানি ভরে দেয়ার দায়িত্ব নেন মক্কার নির্দিষ্ট কিছু পরিবার। এই রীতি একটি পারিবারিক রীতিতে পরিণত হয়। ২০১০ সালে সৌদি আরব এই পানি পরিশোধনের জন্য একটি বড় প্রকল্প ঘোষণা করে।
এতে দেয়া হয় ৭০ কোটি রিয়ালের বাজেট। পানি পরিশোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে পবিত্র গ্রান্ড মসজিদের কাছেই, যাতে সহজে হাজী, দর্শনার্থীদের এই পানি সরবরাহ দেয়া যায়। এই পানি পরিশোধনাগারের নাম কিং আবদুল্লাহ জমজম ওয়াটার ফ্যাক্টরি। এখান থেকে দিনে দুই লাখ বোতল পানি পরিশোধন করা হয়। তবে রমজান ও হজ মৌসুমে এ পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। সারা বছরই মক্কা ও মদিনায় এই পানি পৌছে দেয়ার উপায় নিয়ে একটি জরিপ চলছে।