একটি স্বাধীন দেশে জননিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে। মানুষের ভোটের অধিকার ও বাঁচার অধিকার হুমকিতে পড়লে গনতন্ত্র হুমকিতে পড়ে। এমন হলে মানুষের নিরাপত্তাতো হুমকিতে পড়বেই।আর যারা নিরাপত্তা দিবেন তাদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়লে কেমন হয়। সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগরিষ্ঠ সকলেরও নিরাপত্তা যদি আঁতকে উঠে তবে দেশ নিারপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে না এমনটি ভাবাও কষ্টকর। বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, গনমানুষের নিরাপত্তাই হুমকির মধ্যে পড়ে গেছে। ফলে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমরা গর্ব করব কি নিয়ে।
বেশ কিছু দিন ধরে সিরিয়াল কিলিং বলা যায় চলছে। মানুষ মানুষ মারছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে নিরাপত্তা বিনষ্টও করছেন। আবার এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরও নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ে গেছে। আবার সাংবিধানিক ভাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সকল জাতির মানুষও নিরাপত্তা আতঙ্গে আছে। আইনের ভুল প্রয়োগের কারণে উচ্চ আদালত বেশ কিছু রায় দিয়ে আইন ও সংবিধান সংশোধন করতেও বলছে।
আর সরকার বলছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল। অতীতের সময় থেকেও ভাল। গুড। সরকার যদি মনে করে এই ধরণের ধারাবাহিক ঘটনার পরও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে ভাল তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই।
তবে জনগনের দাবি, যে কোন মুল্যে সরকারের উচিত স্থিতিশিলতা প্রতিষ্ঠা করা। না হলে পরিস্থিতি দিন দিন অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে এতে আর কোন সন্দেহ থাকল না।
ড. এ কে এম, রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম