চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী এবং নাটোরের বড়াইগ্রামে খ্রীস্টান ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। এক বার্তায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে শুরু হয়েছে সিরিয়াল কিলিং। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়-দেশে যেন প্রতিমূহুর্তে গোরস্থানের পরিসরই বিস্তৃত হচ্ছে। দেশবাসী যেন এক নিরাপত্তাহীন অন্ধকার গুহায় বসবাস করছে। চারিদিকে ভয়, শঙ্কা আর আতঙ্ক নিয়েই দেশের মানুষ এখন অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে।
ভ্রুক্ষেপহীন সরকার বন্য প্রতিহিংসার আক্রোশে জঙ্গীদের তৎপরতা দমন করার পরিবর্তে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়েই দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটালেও নিজেরা নিষ্কলঙ্ক হতে পারছে না। তাই প্রকৃত দুস্কৃতিকারিদের অনুসন্ধান করে গ্রেপ্তার করার পরিবর্তে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসী তাদের উচ্চনাদী অপপ্রচার বিশ্বাস করেনা। আর এই সুযোগে জঙ্গীরা আরো বেশী শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। জঙ্গীরা প্রকাশ্য দিবালোকে নির্ভয়ে হত্যাকান্ড সংঘটিত করছে, অথচ ক্ষমতাবিলাসী সরকার নিশ্চিন্তে এগুলোকে আমলেই নিচ্ছে না। খালেদা জিয়া বলেন, বিদেশী হত্যা থেকে শুরু করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন ও তাদের ধর্মগুরু, মসজিদের ঈমাম, শিয়া মুসলমান, পীর ও পীরের শিষ্য কেউই ঘাতকদের অস্ত্রের আঘাত থেকে রেহাই পায়নি। জনপদের পর জনপদে এখন শোকের মাতম উঠেছে। এই রক্তনদী আর কতদুর বইবে তা কেউ জানে না।
ক্ষমতা বজায় রাখতে গিয়ে সরকার নিজেই রক্তাক্ত হানাহানীর পথ বেছে নিয়েছে। যার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে। খালেদা জিয়া আরও বলেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের স্ত্রী এবং নাটোরের খ্রিস্টান মুদি দোকানীকে হত্যা বর্বর, কাপুরোষোচিত ও অমানবিক পশুপ্রবৃত্তির সামিল। মানবতাবোধশুণ্য এই অন্ধ হিং¯্রতা মানুষের বিবেককে দারুনভাবে নাড়া দিয়েছে। দেশে একদলীয় দুঃশাসনের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার একটি হচ্ছে এই জঙ্গী তৎপরতা। ভোটারবিহীন সরকারের রাজনৈতিক আচরণ এবং জঙ্গীদের আচরণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই দুই পক্ষই বিরোধী চিন্তা ও মত সহ্য করেনা। তিনি সকল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।