কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে সফল দল উরুগুয়ে। তারা সর্বোচ্চ ১৫ বার শিরোপা জিতেছে। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্টের শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আসরে তাদের শুরুটা হলো হতাশা দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা হারলো দুর্ভাগ্যক্রমে। শেষ মুহূর্তের নাটকীয় দুই গোলে মেক্সিকো তাদের হারিয়েছে ৩-১ গোলে। অথচ এই মেক্সিকো এখন পর্যন্ত কোপা আমেরিকার শিরোপার স্বাদ পায়নি। ১৯৯৩ ও ২০০১- এই দুইবার ফাইনালে উঠলেও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় তাদের। তবে এবার তাদের এই টুনামেন্টের ‘কালো ঘোড়া’ বলা হচ্ছে।
ফর্মের তুঙ্গে থেকেই তারা এবার এই বড় আসরে খেলছে। এই নিয়ে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থেকে নিজেদের ধারাবাহিকতার প্রমাণ দিলো মেক্সিকো। এই জয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে মেক্সিকো। আর চার দলের গ্রুপের তলানিতে উরুগুয়ে। উরুগয়ের তারকা খেলোয়াড় লুইস সুয়ারেজ এদিন ছিলেন না। ইনজুরির কারণে খেলতে পরেননি ২০১৫-১৬ মৌসুমে ইউরোপা ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করা বার্সেলোনার এ স্ট্রাইকার। তবে খেলেন এডিনসন কাভানি ও দিয়েগো গদিনের মতো খেলোয়াড়রা। কিন্তু এদিন তারা ম্যাচের চতুর্থ মিনেটেই প্রতিপক্ষ মেক্সিকোকে এগিয়ে দেন। আত্মঘাতি গোল করেন আলভারো পেরেইরা। ৭৪ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল মেক্সিকো। কিন্তু এ সময় উরুগুয়েকে সমতায় ফেরান দিয়েগো গদিন।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগ পর্যন্তও ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ৮৫ মিনিটে মেক্সিকোকে দারুণভাবে এগিয়ে দেন ৩৭ বছর বয়সী রাফায়েল মারকুইজ। আর ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে তাদের ব্যবধান আরও বাড়ান হেক্টর হেরেরা। এদিন দুই দলই ১০ জনের দল নিয়ে মাঠ ছাড়ে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন উরুগুয়ের ভেসিনো ফালেরো। দ্বিতীয়ার্ধে এটাই উরুগুয়েকে ভোগায়। আর ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মেক্সিকোর গুয়ারদাদো হারনানদেজ।