অস্ত্র প্রশিক্ষক দুই ছাত্রলীগ ক্যাডার বহিস্কার

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

69170_kustia
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ত্রবাজ ছাত্রলীগ ক্যাডার ও ইবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সজিবুল ইসলাম সজীবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। একইসাথে সজীবের অস্ত্র বাহক হিসেবে পরিচিত সালাউদ্দিনকেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় প্রশাসন ভবনের ভিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক, ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মতিয়ার রহমান এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নম্বর সহ-সভাপতি, বিসিএস ক্যাডার (ইকোনমি) আজিজুল হক মামুনকে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদানের অভিযোগে এই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত সজীব ইবির আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ এবং সালাউদ্দিন একই বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণের ঘটনার তদন্তে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক এবং ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কে এম শরফুদ্দিনকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বার বার ক্যাম্পাসে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারকারী ছাত্রলীগ নেতা সজীবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্তে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বেশ কয়েকটি জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় ইবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সজিবুল ইসলাম সজীবের অস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। অস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের এ সকল ছবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক, ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মতিয়ার রহমান এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নং সহ-সভাপতি, বিসিএস ক্যাডার (ইকোনমি) আজিজুল হক মামুনকে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিয়ার রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ইতিপূর্বে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম মামুন ইবির গণিত বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের ছয় মাস পর বিসিএস ক্যাডার (ইকোনমি) পদে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন-‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দুই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর অভিযুক্তদের চূড়ান্ত শাস্তি নির্ধারণ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *