ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের যতটা বেশি সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে থাকতে বলেছেন। অন্তত কয়েকজন যে মোদীর সাধপূরণ করতে পেরেছেন, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় তা পরিষ্কার।
আন্তর্জাতিক সংস্থা বার্নসন-মার্সটেলার সমীক্ষা করে জানিয়েছে, বিশ্বে নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে টুইটারে সবথেকে বেশি ফলোয়ার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। এই মুহূর্তে টুইটারে সুষমার ফলোয়ার সংখ্যা পঞ্চাশ লক্ষ বা পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি। টুইটারে ফলোয়ারের নিরিখে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিশ্বের যে দশজন রাজনীতিবিদ রয়েছেন, সেই তালিকাতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঠাঁই পেয়েছেন সুষমা স্বরাজ
রাজনীতিবিদদের মধ্যে টুইটারে ফলোয়ারের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে রয়েছেন বারাক ওবামা। টুইটারে তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন তিন নম্বরে। টুইটারে তার ফলোয়ার সংখ্যা ২ কোটি মতো। সুষমা এই তালিকায় দশ নম্বরে রয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াকে কীভাবে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা যায় তা সুষমা স্বরাজ কার্যত দেখিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ছোট্ট একটা মেসেজ করে দিলেই কাজ হয়ে যায় দ্রুত। যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়াই হোক বা ইরাক- যেখানেই ভারতীয়রা সঙ্কটে পড়েছেন, খবর পেলেই সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় বিদেশে নানা রকম জরুরি পরিস্থিতিতে পড়ে সুষমার সঙ্গে অসংখ্য প্রবাসী ভারতীয়দের যোগাযোগ করতে হয়। বিদেশের মাটিতে ভারতীয়রা বিপদে পড়লে সুষমাও তাদের সঙ্গে টুইটারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। ফলে টুইটারে সুষমার ফলোয়ারের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। টুইটারে জর্ডনের সুন্দরী রানি রানিয়াকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি।
বার্নসন-মার্সটেলার সমীক্ষা করে জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম ১০ যে নেতানেত্রীকে টুইটারে সবথেকে বেশি মানুষ ফলো করেন, তাদের মধ্যে উঠে এসেছেন সুষমা। ৫০ লক্ষ ফলোয়ার নিয়ে এই তালিকার ১০ নম্বরে আছেন তিনি। নেত্রীদের মধ্যে গোটা বিশ্বে তিনিই প্রথম।
সাড়ে সাত কোটি ফলোয়ার নিয়ে এখনও প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, গুগল প্লাস- সবেতেই তিনি এক নম্বর। দ্বিতীয় স্থানে পোপ ফ্রান্সিস, তার নয়টি ভাষার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৮০ লক্ষ। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফলোয়ার সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি।
সমীক্ষায় জানা গেছে, ১৭৩টি দেশের সরকার অথবা রাষ্ট্রপ্রধান টুইটার ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। সংখ্যাটা ফেসবুকের থেকেও বেশি।
