ঢাকা: আগের চেয়ে ভালো নির্বাচন করা গেছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মনে করি আগের চাইতে ভালো নির্বাচন করা গেছে। প্রথম পর্বে যেভাবে শুরু হয়েছিল তার চেয়ে ইমপ্রুভ হয়েছে। আজকের পর্ব শুধু নয়; সামগ্রিকভাবে বলছি- এটা ইমপ্রুভ হয়েছে।’
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ষষ্ঠ ধাপের ভোট শেষে সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির ব্যাপার নেই। আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। সুষ্ঠুভাবে তা করে আনতে চেষ্টা করেছি, সব থেকে ভালোটা করতে চেয়েছি আমরা। গুটিকয়েক মারামারি ও বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনে কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। কয়েকটি অনিয়ম ও সংঘাত ছাড়া সারাদেশের সব ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘প্রাণহানি দুঃখজনক, এ জন্যে আমরা মর্মাহত। কমিশন এ বিষয়ে গভীর শোক প্রকাশ করছে।’
কাজী রকিব জানান, শনিবারের শেষ ধাপের ভোটে অনিয়মের কারণে ৩৬টি ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় তিন জনের প্রাণহানির ঘটনাো ঘটেছে। বিধিলংঘনের কারণে প্রায় ৫০০ জনকে ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার বেশি অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।
ভোটকে কেন্দ্র করে শতাধিক নাগরিকের প্রাণহাণি ঘটেছে। এ দায় কার- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটার জন্যে সামাজিকভাবে সংস্কার দরকার। যে কোনো মূল্যে জেতার মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ইউনিয়ন পরিষদের ষষ্ঠ ও শেষ ধাপের নির্বাচনেও ছাত্রলীগ নেতাসহ প্রাণ গেল ৩ জনের। শনিবার ভোট চলাকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ফেনীর সোনগাজী আর ও নোয়াখালী সদরে নির্বাচনী সহিংসতায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ছয় ধাপে শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহতের সংখা বেড়ে দাঁড়ালো ১১০ জনে।