শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের শেষ ধাপেও কেন্দ্র দখলের মহোৎসব হয়েছে। আওয়ামী লীগের রক্তাক্ত সন্ত্রাসে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের শেষ ধাপেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রে ঢুকে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপ পর্যন্ত সহিংসতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ ধাপের নির্বাচনেও ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বর্বরতা মানুষের কাছে আরো ফুটে উঠেছে। তাদের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়, তা আবারো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী প্রতিক্রিয়াশীল শব্দের অর্থ বুঝতে পারবেন না। কারণ অর্থমন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি কখনো কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন না। তাই তার মাইন্ডসেট (মানসিকতা) এখনো পরিবর্তন হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল আউয়াল খান, শাহীন শওকত প্রমুখ।