বাংলাদেশে গত বছর সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে

Slider জাতীয়

16899_f4

 

 

 

 

 

গত বছর বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা ও হামলায় নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইসিল, আল-কায়েদার মতো আন্তঃদেশীয় গ্রুপগুলো বিদেশি, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, পুলিশ, ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার ও প্রকাশকদের ওপর চালানো বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে, বাংলাদেশ সরকার এসব হামলার দায় চাপিয়েছে রাজনৈতিক বিরোধী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ওপর। ওদিকে, বিশ্বব্যাপী ২০১৪ সালের তুলনায় গত বছর সন্ত্রাসী হামলা হ্রাস পেয়েছে ১৫ শতাংশ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতকৃত ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০১৫’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
দেশভিত্তিক পর্যালোচনায় বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের কথা ব্যক্ত করেছে। সন্ত্রাসবিরোধী সহাযোগিতার ক্ষেত্রেও দেশটি অব্যাহতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ তে বাংলাদেশ সন্ত্রাসী হামলার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। আইসিল ও একিউআইএস এর মতো আন্তঃদেশীয় গ্রুপগুলোর নামে এসব হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। অথচ আগের বছরগুলোতে সহিংস উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা ছিল স্থানীয় গ্রুপগুলোর। এসব দাবি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার হামলাগুলোর দায় চাপিয়েছে রাজনৈতিক বিরোধী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ওপর।
সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নিজেদের উগ্রপন্থি মতাদর্শের প্রচার এবং বাংলাদেশ থেকে অনুসারী যোগাড় করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেছে। আইসিলের নিজস্ব অনলাইন ম্যাগাজিন দাবিকের ২০১৫ নভেম্বর সংস্করণে ‘দ্য রিভাইভাল অব জিহাদ ইন বেঙ্গল’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ এসেছে। এতে বাংলাদেশে আইসিলের কর্মকাণ্ডের রূপরেখা এবং ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারি মাসে সহিংস উগ্রপন্থা প্রতিহত করা বিষয়ে হোয়াইট হাউজে একটি সম্মেলনে অংশ নেয়। এ ছাড়াও দেশটি সৌদি নেতৃত্বাধীন ইসমালিক সন্ত্রাসবিরোধী জোটে যোগ দেয়। ওই জোটের ঘোষণা আসে ডিসেম্বর মাসে।
২০১৫’র সন্ত্রাসী হামলা: ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সরকারি সংস্থার ওপর হামলা বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। প্রথমবারের মতো এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তঃদেশীয় গ্রুপগুলো। ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ৩০শে মার্চ, ১২ই মে, ৭ই আগস্ট ও ৩১শে অক্টোবর চার ব্লগার ও এক প্রকাশকের ওপর চালানো হামলার দায় স্বীকার করে একিউআইএস। এর মধ্যে নিহত একজন ছিলেন মার্কিন নাগরিক। আইসিল ৯টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৮শে সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান এনজিওকর্মী হত্যা, ৩রা অক্টোবর জাপানি ত্রাণ কর্মী হত্যা এবং ১৮ই নভেম্বর একজন ইতালিয়ান যাজকের ওপর হামলা। ২৪শে অক্টোবর শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে চালানো হামলার পেছনেও আইসিল ছিল বলে খবর আসে। ওই হামলায় একজন নিহত এবং প্রায় ১০০ মানুষ আহত হয়। ৪ঠা নভেম্বর পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকিতে চালানো হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এ ছাড়া ২৫শে ডিসেম্বর আহমেদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়। এ দিনের হামলাকারী নিহত হয়। গণমাধ্যমে ১০ থেকে ১২ জন আহত হওয়ার খবর আসে। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলে আসছে আইসিলের কোনো সক্রিয় অবস্থান দেশে নেই। আর আইসিলের স্বীকার করা হামলার দায় চাপিয়ে আসছে স্থানীয়দের ওপর।
এ ছাড়া, ১৮ই ডিসেম্বর চট্টগ্রামে একটি নৌঘাঁটিতে অবস্থিত দুটি মসজিদে হামলা চালানো হয়। তবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করে নি। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এতে ৬ থেকে ২৫ জন আহত হয়। এ ছাড়াও, খ্রিষ্টান, হিন্দু ও সংখ্যালঘু মুসলিম গ্রুপগুলোর ওপর হুমকি ধামকি ও ছোট আকারের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
একিউআইএস এর দায় স্বীকার করা হামলাগুলোর প্রত্যেকটিতে হামলাকারীরা চাপাতি ব্যবহার করেছে। আইসিলের দাবি করা হামলাগুলোয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে: চাপাতি, পিস্তল ও বোমা। আহমেদিয়া মসজিদে হামলার ক্ষেত্রে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রণীত আইন, আইন প্রয়োগ ও সীমান্ত নিরাপত্তা : ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে অগ্রগতি করে চলেছে বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা। আইনটি ২০১২ ও ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশের এটিএ আইন সদস্য নিয়োগ এবং সন্ত্রাসবাদের প্রসারে সফরে নিষেধাজ্ঞা না দিলেও, আইনের সার্বিক বিষয়বস্তুতে বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল রেজুলেশন (ইউএনএসসিআর) ২১৭৮ (২০১৪) বাস্তবায়ন করতে পারবে। এই রেজুলেশনটি বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের হুমকি মোকাবিলা সংক্রান্ত। আইসিল এবং জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এর সন্দেহভাজন সমর্থকসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বহু সদস্যকে   সরকারি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর আসে। ২৪শে ডিসেম্বর পুলিশ এক অভিযানে সন্দেহভাজন ৩ জেএমবি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। এ অভিযানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট উদ্ধার করা হয়।
দেশের সীমান্ত এবং সমুদ্র ও বিমানবন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাজ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী সহায়তা কার্যক্রমে অব্যাহতভাবে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও, সংকট মোকাবিলা, বিস্ফোরক রসদ নিষ্ক্রিয় করা এবং এভিয়েশন নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত সরকারি কৌঁসুলিদের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ এবং দেশের সুনির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে স্থানীয় সম্প্রদায়মুখী পুলিশ প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
ইউএস স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড প্যাসিফিক (এসওসিপিএসি) বাংলাদেশের কয়েকটি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। বাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ নেভি স্পেশাল ওয়ারফেয়ার এন্ড ড্রাইভিং স্যালভেজ ইউনিট এবং বাংলাদেশ আর্মি ফার্স্ট প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পষ্ট একটি সন্ত্রাসবিরোধী ম্যান্ডেট না থাকলেও, এসওসিপিএসি বিশেষ অভিযানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এসব বাহিনীর সঙ্গে জোরালো অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিহত করা: বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)-এর সদস্যরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিহত করা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তাল মেলানোর লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তাদের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট/অর্থ পাচার বিরোধী বিভাগ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউ এগমন্ট গ্রুপের একটি সদস্য। ইউনিটটি তাদের নিজস্ব কর্মকর্তা ও অন্যান্য অংশীদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জন্য নানা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের এটিএ আইনে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিষয়ক ধারায় সন্ত্রাসী গ্রুপের ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ক্ষেত্রগুলোতে অর্থ লেনদেন, সংগ্রহ সেবা ও সহায়তা দেয়া নেয়া নিষিদ্ধ। আইনে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোতে ও এদের সমর্থনে সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ। এসব সংগঠন গুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের নথিভুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো যেমন আইসিল ও আল-কায়েদা। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ঘটনায় অন্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহায়তার সুযোগও রয়েছে এটিএ আইনে। সন্ত্রাসবাদ কর্মকাণ্ডসংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দ করার বিধান রয়েছে। তবে, বছরের শেষে বিদ্যমান আইনের সফল বাস্তবায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিদ্যমান ছিল। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬৪টি অর্থপাচার মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আর দণ্ড দেয়া হয়েছে একটি মামলায়।
সহিংস উগ্রবাদ প্রতিহত করা: ২০১৫ সালে বাংলাদেশ গ্লেবাল ফান্ড ফর কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এন্ড রেজিলিয়েন্স (জিসিইআরএফ) এর অধীনে কমিউনিটি সাপোর্ট মেকানিজম (সিএসএফ) গঠন করে। জিসিইআরএফ সহিংস উগ্রপন্থা প্রতিহত করতে স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের প্রচেষ্টাগুলোকে সহায়তা করার জন্য স্থাপিত একটি পাবলিক-প্রাইভেট বৈশ্বিক ফান্ড।  জিসিইআরএফ এর অর্থায়ন পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য ৫টি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করে আবেদন দাখিল করে সিএসএম। ডিসেম্বরে তা অনুমোদন পায়। ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির জন্য ইমাম ও ধর্মীয় বিদ্বজনদের সঙ্গে কাজ করেছে। ২০১৫ সালে পুলিশ সহিংস উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্ত্রাসীদরে প্রোপাগান্ডা প্রতিহত করতে ধর্মগ্রন্থভিত্তিক যথাযথ বার্তা প্রচারের জন্য ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করার একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা শুরু করে।
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সক্রিয়। দেশটি সার্কের অধীনে কয়েকটি সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের অংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলের চারটি ভিত্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ তাদের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা এগিয়ে নিচ্ছে। ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জোরালো আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়াও, দেশটি কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে ফৌজদারি তদন্ত সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ আদন প্রদানের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এগুলোর মধ্যে অর্থ সংক্রান্ত অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের তদন্ত অন্তর্ভুক্ত।
২০১৫ সালে সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার-টেররিজম বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক জাস্টিন সিবেরেল বলেছেন, ২০১২ সালের পর সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে। এর অন্যতম কারণ, ইরাক, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ায় হামলা ও নিহতের সংখ্যা উভয়েই কমেছে। সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৫টি দেশের তিনটিতেই এ অবস্থা বিরাজমান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সন্ত্রাসী হামলায় ২৮,৩০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৫,৩০০ জন। বিশ্বব্যাপী মোট হামলা হয়েছে ১১,৭৭৪টি। তবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত মতে, ২০১৫ সালেও সন্ত্রাসবাদের হুমকি ব্যাপকভাবে বিবর্তিত হওয়া অব্যাহত রেখেছে। তবে এসব হুমকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে চরমপন্থিরা দেশে বিরাজমান হতাশাকে ব্যবহার করছে। এসব দেশে মুক্তি ও শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশ বন্ধ করে রাখা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিসংগঠন আইএস’র হুমকি সবচেয়ে বড়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়া জুড়ে সহযোগী ও সমর্থকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে গ্রুপটি। ইরাক ও সিরিয়ায় ভূখণ্ড হারালেও, লিবিয়া ও মিশরে শক্তিমত্তা বেড়েছে তাদের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক ছিল ইরান। বিশেষ করে, সিরিয়া ও ইরাকের সংঘাত সমর্থন করে আসছে দেশটি। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বোমা হামলা চালাতে শিয়া মিলিশিয়াদের অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ আছে ইরানের বিরুদ্ধে। তবে বাহরাইনের এ অভিযোগ অস্বীকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *