গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের চাকরিচ্যুতি এবং এ নিয়ে সংসদে অসৌজন্যমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ জন শিক্ষক। রোববার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১ জন, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খুলনা, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ইসলামী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিএসএমএমইউ, বিএসএমকৃবি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রয়েছেন। বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, পারিবারিক এবং মানবিক কারণে ডা. জুবাইদা রহমান সরকারিবিধি অনুযায়ী প্রবাসে অবস্থান করছেন। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একজন সম্মানিত নারী চিকিৎসকের চাকরিচ্যুতিকে হাস্যরস ও তাচ্ছিল্যের বিষয় বানিয়ে জাতীয় সংসদে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য উপস্থাপন সুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে না। এ ধরনের বাক্যালাপ শিষ্টাচারবহির্ভূত, অনাকাক্সিক্ষত এবং নিন্দনীয়। দেশ-বিদেশে তাকে ও তার পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে এ কাজ করা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, ডা. জুবাইদা রহমান একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক। তিনি মরহুম রিয়ার এ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ এবং বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী। বিভিন্ন অজুহাতে বর্তমান সরকার কর্তৃক তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তিনি একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, দায়িত্বশীল মাতা এবং একজন মেধাবী চিকিৎসক। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেন-ই-বা ঢাকঢোল পিটিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে সংসদে ঘোষণা দিতে গেলেন যা সচেতন সমাজের নিকট অশোভনীয় ও বোধগম্য নয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেডএন তাহমিদা বেগম, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. মাইমুল আহসান খান, অধ্যাপক প্রফেসর ড. আবদুল আজিজ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ উল ইসলাম, ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, ড. মো. জসিম উদ্দিন, ড. গোলাম রব্বানী, ইস্রাফিল প্রাং রতনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ জন শিক্ষক।