গ্রাম বাংলা ডেস্ক:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘এ কে খন্দকার নিশ্চয় বাপ কা বেটা, শুধু বীর উত্তম নন।’ তিনি বলেন, ‘ভদ্র মানুষ আওয়ামী লীগে বিরল। এ কে খন্দকার ভদ্র মানুষ, তাই আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁকে এখন সহ্য করতে পারছেন না।’
হান্নান শাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি বক্তৃতার শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ফ্রি থিংকার্স ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে হান্নান শাহ এসব কথা বলেন। ‘অ্যামনেস্টি রিপোর্ট: বাংলাদেশ খুন-গুম-অপহরণ-মানবাধিকার ও বিচারব্যবস্থা’ শীর্ষক এ মুক্ত আলোচনায় এ কে খন্দকারের সদ্য প্রকাশিত বইয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর পিতা যা শেষ করতে পারেনি, তা তিনি করবেন। আমরা জানি, বঙ্গবন্ধু যা করতে পারেননি তা হলো বাকশাল। আওয়ামী লীগ এখন বাকশালই কায়েম করছে।’
জাসদকে একটি জঙ্গি সংগঠন উল্লেখ করে হান্নান শাহ বলেন, বিএনপি নয় বরং জাসদকে তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে আওয়ামী লীগই দেশে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর সরকারি-বেসরকারিভাবে যারা সন্ত্রাসী ছিল, তারাই এখন দেশ চালাচ্ছে।
হান্নান শাহ বলেন, ‘সীমান্তের ভেতরে ও বাইরে এ সরকারের অনেক “ছোট দাদা-বড় দাদা” আছে। তাই “দাদাদের” তাঁদের আদরও বেশি। কিন্তু আমাদের নেত্রী বলেছেন, তাঁর একমাত্র ঠিকানা বাংলাদেশ।’
ফ্রি থিংকার্স ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, র্যাব একটি কলঙ্কিত বাহিনী। সরকার সেনাবাহিনীকেও বিতর্কিত করছে।
জাপানের সমর্থনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সমালোচনা করে মাহবুবুর বলেন, ‘এটি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। দেশের মানুষের সঙ্গে আলাপ না করে সরকার নিজে নিজে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’