পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তিসভায় যে ৪২ জন মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন তার মধ্যে ২৫ জনই কোটিপতি। কোটিপতিদের মধ্যে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনই কোটিপতি। পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যেও কোটিপতি রয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্মস-এর সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, মন্ত্রিসভার ৫৭ শতাংশই কোটিপতি। মনোনয়ন জমা দেবার সময় প্রার্থীদের দেয়া সম্পত্তির হিসাবের ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সমীক্ষায় জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার ৯ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অপহরণ ও আশান্তি তৈরির মত গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জন এবার মন্ত্রিসভায় নতুন জায়গা পেয়েছেন। ভারতীয দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে আসানসোলের বিধায়ক ও মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৬টি। এবারের মন্ত্রিসভায় টাকার অঙ্কে সবচেয়ে ধনী মুর্শিদাবাদের জঙ্গীপুর থেকে নির্বাচিত বিধায়ক ও শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বিড়ি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তার সম্পত্তির পরিমান ২৮ কোটি রুপি। এরপরেই রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৭ কোটি রুপি। পিছিয়ে নেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১১ কোটি রুপি। পাণি সম্পদ অনুসন্ধান মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর সম্পত্তির পরিমান ৭ কোটি রুপি। কলকাতার মেয়র ও দমকল-আবাসন মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধঅয়ের রয়েছে ৬ কোটির রুপির সম্পত্তি। আর ৫ কোটি রুপির সম্পত্তি রয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, স্বস্থ্য ও শিশু কল্যান মন্ত্রী শশী পাঁজা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী জেমস কুজুর। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মন্ত্রীদেও সম্পত্তির এটাই যে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তা মোটেই নয়।