জাহিদ হাসান/আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে ফিরে; প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে গাজীপুর জেলায় অনৈক্য রয়েছে। চাপা অমিল ও আভ্যন্তরীন কোন্দলে সাধারণ কর্মীরা হতাশ। এতে সুস্থ রাজনীতি চর্চায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে আছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে একাধিক উপ-দল রয়েছে সারা জেলায়। গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের একটি শক্তিশালী গ্রুপ রয়েছে। তার বিপরীতে এক এক আসনে এক এক গ্রুপ। রাজনৈতিক সুবিধার চাহিদা অনুসারে ওই সকল গ্রুপের জন্ম। গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর) আসনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর বিপরীত পক্ষ একই দলের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন শিকদার।
গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেলের বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর গ্রুপ। গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর বিপরীতে বর্ষীয়ান সাংসদ এড. রহমত আলীর গ্রুপ। গাজীপুর-৪(কাপাসিয়া) ও গাজীপুর-৫(কালিগঞ্জ) -এ- একই অবস্থা। স্থানীয় সাংসদদের বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর গ্রুপ। ফলে প্রায়ই দুই গ্রুপের মধ্যে মারা মারি খুনাখুনি হয়।
গাজীপুর জেলায় আওয়ামীলীগের মধ্যে শক্তিশালী দুটি পক্ষ থাকায় সাধারণ কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খোলায় আভ্যন্তরীন দ্বন্ধ আনুষ্ঠানিক রুপ পায় না। কিন্তু সারা জেলার প্রত্যেক জায়গায় এই দুই গ্রুপের প্রকাশ্যে অস্থিত্ব বিদ্যমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মধ্যে দুটি শক্তিশালী ও পরস্পর বিরোধী গ্রুপ থাকায় ক্ষমতার সাদ সকলেই ভোগ করতে পারছেন না। মন্ত্রীর গ্রুপ শক্তিশালী হওয়ার কারণে মন্ত্রীর বিপরীত গ্রুপের নেতা কর্মীরা নির্যাতিতও হয়েছেন। দল ক্ষমতায় থাকা কালিন অনেক দলীয় নেতা-কর্মী একাধিক মামলার আসামী হয়ে গ্রেফতার ও রিমান্ড পর্যন্ত খেটেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, দলীয় পদ পদবী ও বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রী গ্রুপের প্রভাব বেশী। ফলে মন্ত্রী গ্রুপের বিপরীতে থাকা আওয়ামীলীগের অপর গ্রুপ সারা জেলায়ই কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে।
এমতাবস্থায়, আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গাজীপুর জেলায় দুটি গ্রুপ সৃষ্টি হওয়ায় দলীয় কর্মকান্ড ও ব্যবসা বানিজ্য সহ সকল ধরণের সূযোগ সুবিধায় একটি বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে আছে।
চলবে–
আগামীকাল বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা ———–