মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. শামীম খান, মো. সোহাগ ও শরিফুজ্জামান ওরফে হুমায়ুন। এদের মধ্যে হুমায়ুন পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোণা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাসেম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি জিএম খান পাঠান বিমল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জুন কেন্দুয়া উপজেলার চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের মো. ফারুক ভূঁইয়ার ছেলে মো. শুক্কুর আলীকে আসামিরা অপহরণ করে। পরে তার সন্ধান না পেয়ে বাবা ফারুক ভুঁইয়া কেন্দুয়া থানায় জিডি করেন। এরপর ২৫ জুন অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সূতী নদী থেকে শুক্কুর আলীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দীর্ঘ শুনানির পর আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি জিএম খান পাঠান বিমল। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জল, অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম খান আনার।