নোয়াখালী : জেলায় আড়াই কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা পরিষদের প্রধান হিসাবরক্ষক তারিক হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তিনি ২ কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এর আগে তারিক হাসানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন চৌধুরীকে আহ্বায়ক কমিটি করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের সত্যতা নিশ্চিত করে ২৪ মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর দুইদিন পর অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারী আইনে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী সবিতা রাণী দাস বাদী হয়ে ২৯ মে রাতে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব পালনকালীন অবৈধ পন্থায় প্রধান নির্বাহীর স্বাক্ষর জাল করে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহীর স্বাক্ষরিত চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক সোনাপুর শাখায় জেলা পরিষদের চলতি হিসাব থেকে এ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, অবৈধ অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বেচ্ছায় লোভে পড়ে এ ধরনের অপকর্ম করেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, জেলা পরিষদের মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার রাত ১১টার দিকে সোনাপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালীকে হস্তান্তর করলে তারা তাকে আদালতে প্রেরণ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালী শাখার উপ-পরিচালক তালেবুর রহমান জানান, অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।