প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১৪ বর্গমিটার এলাকায় জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশের দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক টোকিও নগরীর কেন্দ্রস্থলে আমাদের নিজস্ব একটি ঠিকানা পেয়ে নিঃসন্দেহে গর্বিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সফরের মধ্য দিয়ে জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। স্বাধীনতা লাভের পর জাপান যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে সব ধরনের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। সে সময় জাপান সরকার এবং জাপানের প্রতিটি লোক আমাদের জন্য তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।’
এ সময় শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে জাপানের অবদান বিশেষ করে আমাদেরকে সহায়তা দেয়ার জন্য টিফিনের অর্থ বাঁচিয়ে জাপানি শিশুদের অর্থ সংগ্রহের কথা স্মরণ করেন।
আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,তার সরকার সম্পর্ক জোরদার রাখার লক্ষ্যে সবসময় সচেষ্ট।বাংলাদেশ সবসময় দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জাপানের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে। হোটেল সোনারগাঁও,যমুনা সেতু,রূপসা সেতু এবং পদ্মা সেতু নির্মাণে জাপানের ব্যাপক অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা স্বাগত বক্তৃতা করেন। জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের মহাসচিব ইচিরো তাসুকাদা এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সেইজি কিহারাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাপান সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।