জোর করে সিল মারার ঘটনা অনেক কম হয়েছে : সিইসি

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

file

 

 

ঢাকা; প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র দখল বা জোর করে সিল মারার ঘটনা অনেক কম হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় অবস্থানের কারণে একটিমাত্র ভোটকেন্দ্র ছাড়া কোথাও ভোটগ্রহণের আগের রাতে কেন্দ্রে সিলমারার ঘটনা ঘটেনি। ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের পর ইসি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ৫ম ধাপে ৭১৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যায়েও নির্বাচনে কিছু জায়গায় অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে এবং যেখানেই অনিয়ম হয়েছে সে ভোট সেন্টারের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশের অনেক জায়গায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে ব্যাপক ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
নির্বাচনে কিছু জায়গায় সংঘর্ষ ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও ঠাকুরগাওয়ের সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্বপালনের জন্য মোটর সাইকেলযোগে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন পোলিং অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পেলিং অফিসার এবং নির্বাচনী সংঘর্ষে নিহতদের মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন গভীর শোক প্রকাশ এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন হতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের প্রচারিত খবরও সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হয়েছে। নির্বাচন মনিটরিংসহ বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভন্ন অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্র বা এর আশেপাশে প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থীদের মাঝে গোলযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি বর্ষণ করতে হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত কেউ যাতে পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ বা অনিয়ম না করেন সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৫ম ধাপের নির্বাচনে ৬৪৮৪টি ভোট সেন্টারের মধ্যে পরিস্থিতি প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ-বহির্ভূত হওয়ার কারণে ৫৩টি ভোটকেন্দ্রর ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আরো ভোট সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হবে। ভোট গ্রহণ চলাকালে নির্বাচনে অনিয়ম করার কারণে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ৫ম ধাপের নির্বাচনে সারাদেশে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম ও আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে ১৪০ জনকে ২ লক্ষ ৬১ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *