গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বর্তমান সংসদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বঘোষিত নির্বাচিতদের জনগণের প্রতিনিধি মানতে পারি না। যে সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই, তা কিসের সংসদ? কাদের সংসদ?’
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট নামে একটি রাজনৈতিক মোর্চা ‘বাংলাদেশের রাজনীতি: প্রগতিশীল গণতন্ত্রীদের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সংবিধান সংশোধনী বিলের উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘পরশু (রোববার) সংসদে বিল আসছে জজদের সরানোর। কারণ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় দুই-একজন জজ যে আদেশ দিয়েছেন, তা গায়ে লেগেছে। কোর্টে আমি কেন গেলাম, এটাও সহ্য হয়নি।’ কোনো আলাপ-আলোচনা না করে বিচারপতির অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মন্তব্য করে তিনি।
সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দেওয়া, ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন করার কড়া সমালোচনা করেন ড. কামাল হোসেন। ১৫৩ জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এবং ৮২ ভাগ ভোটারকে বঞ্চিত করে গঠিত সরকারকে ‘ছেলে খেলা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘বলা হয়েছিল আরেকটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবেন। আট মাস হয়ে গেল। আপনাদের কে মত দিয়েছে, এভাবে চলতে থাকবে? এই প্রতারণা আমরা মেনে নেব?’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা মনে করছে পেয়ে গেছি। যেমন বাচ্চারা বলে, এ পুতুলটা আমার, এ পুতুলটা আমার। রাষ্ট্রক্ষমতা কি পুতুল খেলা? এই পুতুল খেলাকে কি গণতন্ত্র বলে?’
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি মফিদুল ইসলাম, তৃণমূল জনতা পার্টির নাজিম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।