যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করে আগামী বছর জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ ছাড়ছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মেয়াদ শেষে তিনি কোথায় থাকবেন, কিভাবে কাটবে তার দিন তা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। মিডিয়ায় এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর প্রেসিডেন্ট ওবামা ওয়াশিংটন ডিসিতেই কালোরামা এলাকায় একটি বিলাসবহুল বাসায় উঠছেন। এটার নাম তুওডোর ম্যানসন। এটির মূল্য ৭০ লাখ ডলার। বাড়িটিতে রয়েছে চোখ ঝলসানো ৯টি বেডরুম। এখানেই দিন কাটবে ওবামা দম্পতি, তাদের সন্তানদের। এর আগে আট বছরের জন্য তাদের বাসা ছিল ১৬০০ পেনসিলভ্যানিয়া এভিনিউ এনডব্লিউ-এর বাসা। কিন্তু এবার তারা কালোরামার ওই বাসাটি লিজ নিচ্ছেন। এ খবর যুক্তরাষ্ট্র সহ বাকি দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেছেন, ওয়াশিংটনেই কমপক্ষে আরও কয়েকটি বছর তিনি ও তার পরিবার কাটিয়ে দিতে চান। তার এমন ঘোষণার দু’মাস পরে কালোরামার বাসাটি লিজ নেয়ার খবর পাওয়া গেল। তিনি এ বাসাটি লিজ নিচ্ছেন এ জন্য যে, তার ছোট মেয়ে শাশার অভিজাত স্কুল সিদওয়েল ফ্রেন্ডস স্কুল এর কাছেই। ফলে স্কুল পরিবর্তন না করেও সে তার পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারবে। তিওডোর ম্যানসন নির্মিত হয় ১৯২৮ সালে। রয়েছে ৯টি বেডরুম। প্রতিটির মেঝেতে রয়েছে হার্ডউড। আছে দুটি গাড়ির গ্যারেজ। আছে নজরকাড়া বাগান। এর মোট আয়তন ৮২০০ বর্গফুট। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কালো ও শ্বেত পাথরের ঢালাই। লিভিং রুমটি আরও নজরকাড়া। আছে দুটি অতিথিদের জন্য দুটি বেডরুম। উপরের তলায় রয়েছে চারটি ছোট কক্ষ। এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার মা মারিয়ান রবিনসন বর্তমানে ওবামা দম্পতির সঙ্গে হোয়াইট হাউজেই অবস্থান করেন। তার জন্য তিওডোর ম্যানসনে একটি বিশেষ স্যুট রাখা হবে। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন থেকে এ ম্যানসনটি মাত্র দু’মাইল দূরে। রেকর্ড অনুযায়ী এ বাড়িটি সর্বশেষ ৫৩ লাখ ডলারে বিক্রি হয় ২০১৪ সালের মে মাসে। বর্তমানে এর মালিক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময়কার তথ্যমন্ত্রী জো লকহার্ট ও তার স্ত্রী গিওভানা গ্রে লকহার্ট। গিওভানা এখন ‘গ্লামার’ ম্যাগাজিনের ওয়াশিংটন সম্পাদক। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ম্যানসনটি ব্যবহার করতে ওবামাকে প্রতি মাসে ২২ হাজার ডলার ভাড়া দিতে হতে পারে। এ ছাড়া ইলিনয়ের শিকাগোতে ওবামা দম্পতির রয়েছে ৬২০০ বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল বাড়ি। ওদিকে তিওডোর ম্যানসনের আশপাশের অধিবাসীরা তো মহাখুশী। তাদের প্রেসিডেন্ট তাদের একেবারে কাছে এসে পড়ছেন, তাদের সঙ্গে বসবাস করবেন, তাছাড়া ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে, এসব কারণে তারা নিজেদের গর্বিত মনে করছেন।