পঞ্চম ধাপে ৭২০ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে

Slider জাতীয়

 

 

2016_03_31_10_42_06_qUpKePBZXBoyhw8IkjcKeYzBbE4Exr_800xauto

 

 

 

 

ঢাকা : পঞ্চম ধাপে দেশের ৪৪ জেলার ৮৬ উপজেলার ৭২০ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এসব ইউপিতে ১ কোটি ১০ লাখের কিছু বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আগের চারধাপে ব্যাপক অনিয়ম সহিংসতার পর এবার পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে মোতায়েন রয়েছে দেড় লাখ পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও আধাসামরিক বাহিনী বিজিবি সদস্য।

শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ তৃণমূলের এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। শুক্রবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ভোটবাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। এক লাখেরও বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে ৭২০ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৫৪। সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজারের বেশি ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে  ১৫ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৭২৭ এবং ১ হাজার ৫২২ লড়ছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ৭২৬ ইউপিতে, ৬২৯ ইউপিতে রয়েছে বিএনপির প্রার্থী।

এছাড়া জাতীয় পার্টি ১৭৭, জাসদ ২১, বিকল্পধারা ২, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৩, ইসলামী আন্দোলন ১২২, জেপি ২, ইসলামী ফ্রন্ট ১১, এলডিপি ৬, সিপিবি ৫, জেএসডি ১, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৬, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৭ এবং আরেক দল প্রার্থী দিয়েছে এক ইউপিতে।

ভোটের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন কারণে এ পর্যন্ত ১৪ ইউপিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করছে নির্বাচন কমিশন। আগের মতো পঞ্চম ধাপেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৪২ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম ধাপে বিনাভোটে দলের ৫৪, দ্বিতীয় ধাপে ৩৪, তৃতীয় ধাপে ২৯ এবং চতুর্থ ধাপে ৩৫ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে ১৯৩ প্রার্থী জয় পেয়েছে ভোট ছাড়াই।

আগের চার ধাপের মতোই সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা ও নানা অভিযোগের মধ্যে শনিবার ৭২০ ইউপিতে তৃণমূলের এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।

ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর  থেকে গত সাড়ে তিন মাসে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানি শতাধিক। প্রতিদিনই ঘটছে সংঘর্ষ-হামলার ঘটনা ঘটছে।

গত ২২ মার্চ, ৩১ মার্চ, ২৩ এপ্রিল ও ৭ মে বিক্ষিপ্ত গোলাযোগ ও ব্যপক অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে চার ধাপের ভোট হয়। পরবর্তী দুই ধাপে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *