জাপানে দুই দিনের বৈঠক শেষে শুক্রবার এক ঘোষণায় তারা বলেন, ‘ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া বৃহত্তর বৈশ্বিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে উল্টো প্রবণতা সৃষ্টি করবে এবং এটা প্রবৃদ্ধির জন্যও মারাত্মক ঝুঁকি।’ খবর এএফপির
চূড়ান্ত ইশতেহারে বিশ্বের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার হুমকি মোকাবেলায় অগ্রাধিকার হিসেবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে গেলে অর্থনেতিক পরিণতির ব্যাপারেও সতর্কবাণী করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ইইউতে থাকবে না বেরিয়ে যাবে তা নিয়ে আগামী ২৩ জুন দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ২৮ জাতির এ জোটে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সাম্প্রতিক জরিপগুলোতেও ইইউতে থাকার পক্ষে সমর্থন বেড়েছে।
দুই দিনের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও জাপান ‘জরুরি অগ্রাধিকার’ হিসেবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে স্থান দিয়েছে।
জোট নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী হামলা ও সহিংস চরমপন্থা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি মোকাবেলাসহ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রধান ঝুঁকিগুলো ‘সম্মিলিত মোকাবেলার’ অঙ্গীকার করেছেন।
জি-৭ জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও এবারের সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, শ্রীলংকা, পাপুয়া নিউগিনি ও আফ্রিকার দেশ চাদের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।