গ্রাম বাংলা ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিদেশী টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশী অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আগ্রাসন করার সম্ভাবনা নেই। বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানের গুনগত মান পরীক্ষা এবং তার ভিত্তিতে এসব চ্যানেল ডাউনলিংক করে সম্প্রচারের অনুমতি প্রদান করা হয়ে থাকে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে আজ বেগম ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সংসদে তথ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জান নূর প্রশ্নের জবাব দেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগে বাস করছি। নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং বিকাশের ফলে জল, স্থল ,আকাশ কোন কিছুই সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। বিদেশের সব কিছু যেমন ভালো নয়, তেমনি সবকিছুই মন্দ নয়। ভালোকে গ্রহন করা ও মন্দকে বর্জন করার জন্য আমাদেরকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশী টিভি চ্যানেলে কী কী ধরণের অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা যাবে ও কী কী ধরণের অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা যাবেনা সে সম্পর্কে ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬’ এর ধারা ১৯ এ বিস্তারিত বিধি বিধান রয়েছে।
মোহাম্মদ ইলিয়াছের (কক্সবাজার-১) প্রশ্ন- ভারতে বাংলাদেশী চ্যানেল সম্প্রচার করতে না দেয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হবে কিনা ? এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের আইনে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান ডাইনলিংকের কোন বাধা নেই। বাধা হচ্ছে ডাউনলিংকের উচ্চ ফি। ওই ফি-ই হচ্ছে সম্প্রচারে বড় বাধা । এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। ভারত যাতে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সার্ক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল ডাউনলিংকের ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বসুন্ধরা সিনে কমপ্লেক্সে কি নিয়মে বিদেশি ছবির প্রদর্শনি হয়-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান , বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে যে সব দেশী-বিদেশি সিনেমা প্রদর্শণ করা হয় তা বিধি মোতাবেক প্রদর্শন করা হয়। আমদানিকৃত বিদেশি চলচ্চিত্র , বিশেষ করে ইংরেজি চলচ্চিত্রগুলো সেন্সরের জন্য বিধি মোতাবেক প্রথমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দিতে হয়। বোর্ড চলচ্চিত্রগুলো দেখে তার গুণগতমান যাছাই করে সনদপত্র প্রদান করে। বোর্ডের ওই সনদপত্র পাওয়ার পরই চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স।