এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষা বাদ দেয়ার পাশাপাশি পাবলিক পরীক্ষার জন্য একটি সৃজনশীল প্রশ্ন ব্যাংক তৈরির সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করনীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা এ কথা বলেন। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, এমসিকিউ কমিয়ে ১৫ নম্বরে নামিয়ে নিয়ে আসা উচিত। আর পরীক্ষার উদ্দেশ্যই ফেল করানো। যে অযোগ্য তাকে ঠেকানোর জন্যই এই পরীক্ষা। এই যে এতো পাস করছে তাতে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাই সন্দেহের মধ্যে পড়ছে। মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, গ্রেডিং পদ্ধতির বিন্যাস জরুরি। এমসিকিউ পুরোপুরি তুলে দেয়া উচিত। ব্যবহারিকেও কোনো পরীক্ষা হয় না। ২৫ নম্বর এমনিতেই দিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়টাও ভাবা জররুরি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, এমসিকিউ পর্যায়ক্রমে শূন্যে নামিয়ে আনা উচিত। এটা কোনো পরীক্ষাই না। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীও এমসিকিউ তুলে দেয়ার পক্ষে মত দেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ বলেন, পাবলিক পরীক্ষার জন্য অবশ্যই আমাদের একটি প্রশ্ন ব্যাংক থাকা প্রয়োজন। শিক্ষাবিদদের মতামত শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষায় সংখ্যাগতভাবে আমাদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, এখন গুনগতমান বাড়াতে হবে। শিক্ষকদের উন্নয়নে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশ্ন ব্যাংক করার চিন্তা আমরাও করেছিলাম। যেহেতু এ ব্যাপারে সবাই একমত তাই এটি করার পথ সহজ হলো। এমসিকিউতে ২০১৭ সাল থেকে আরো ১০ নম্বর কমানো হবে।