কলকাতার একটি অনলাইন পত্রিকা মুস্তাফিজের সফলতার বেশ কয়েকটি কারণ দাঁড় করিয়েছে।
পত্রিকাটি দাবি করেছে মুস্তাফিজুর যেহেতু ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে বল করতে পারেন। আবার সেই একই অ্যাকশনে গতির হেরফের করতে পারেন। এই কারণেই তাকে বুঝে উঠতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয়ত, স্লোয়ার দেওয়ার সময় শেষ মুহূর্তে শুধু কব্জির মোচড়ে বলের গতি অনেকটা কমিয়ে দেন। এর ফলেও ধন্ধে পড়ে যান ব্যাটসম্যানরা।
তৃতীয় কারণ হিসেবে পত্রিকাটি বলছেন শেষ কয়েক ওভারের জন্য নিখুঁত ইয়র্কার রয়েছে মুস্তাফিজুরের হাতে। যা সামলাতে আন্দ্রে রাসেল পিচের উপরেই ধরাশায়ী হয়েছেন। এই আইপিএলে অন্যান্য ব্যাটসম্যানরাও যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন।
চতুর্থত, বাংলাদেশের হয়েও যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর। কিন্তু আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে ভালো বল করে উইকেট তুলছেন। পঞ্চমত, রবি শাস্ত্রীর পর্যন্ত ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে স্বীকার করেছেন, নিজের বয়সের অনুপাতের বোলার হিসেবে মুস্তাফিজুর অনেক পরিণত। যে কারনে এখন পর্যন্ত সফল মুস্তাফিজ।
এর পরের কারণ হিসেবে পত্রিকাটি বলেছে নিজের যা ক্ষমতা, সেই আউটসুইংকে দিনে দিনে আরও নিখুঁত করে তুলেছেন মুস্তাফিজুর। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ইনসুইংটা আরও ভালভাবে রপ্ত করতে পারলেই মুস্তাফিজুরকে খেলতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা আরও সমস্যায় পড়বেন।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগামীকাল গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে মাঠে নামবেন মুস্তাফিজরা। কাটার মাস্টার কি পারবেন দলকে ফাইনালে নিয়ে যেতে?