ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যদের হাতে আটক হওয়া শেনজুর কাল হলো তার বাড়িতে জো জিয়ানহুই ও তার অন্য দুই সহযোগীকে আশ্রয় দেয়া। এই অপরাধে তিনিও এখন ফেঁসে যাচ্ছেন এটিএম কার্ড জালিয়াতি মামলায়।
বুধবার একদিনের রিমান্ড শেষে শেনজুকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে প্রেরণ করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তথ্যটি নিশ্চিত করেন এটিএম জালিয়াতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘রিমান্ডে শেনজু বলেছেন তিনি জিয়ানহুইয়ের পূর্ব পরিচিত। তবে তার অন্য দুই সযোগীকে তিনি চিনতেন না। এমনকি জিয়ানহুইযে এটিএম কার্ড জালিয়াতি করার মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, সেটাও তার জানা ছিল না।’
তিনি শুধু পেইং গেস্ট হিসেবে জিয়ান হুইকে একটি রুম ভাড়া দিয়েছিলেন। সেই রুমে পরে জিয়ানহুই তার অন্য দুই সহযোগীকে নিয়ে আসেন। অতিরিক্ত গেস্ট থাকার বিষয়ে শেনজু আপত্তি জানাতে গেলে জিয়ান হুই তাকে ভাড়ার টাকা বাড়িয়ে দেয়া প্রস্তাব দেন- বলেন মামলার ওই তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ডে এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় শেনজুর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘না, শেনজু আসলে জালিয়াতির বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারপরেও যেহেতু তিনি জো জিয়ানহুইকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, সে কারণে তাকেও ওই মামলার আসামি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের প্রাইম ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতি করে অর্থ উত্তোলনের সময় সিকিউরিটি গার্ডের বুদ্ধিমত্তায় র্যাব ২ এর সদস্যরা চীনা নাগরিক জো জিয়ানহুইকে হাতেনাতে আটক করে।
এসময় তার হেফাজত থেকে দুটি ইন্টারন্যাশনাল এটিএম কার্ড ও নগদ ৬৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি কার্ড ক্লোন করা ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। তার দুই সহযোগী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলেও দাবি করেছে র্যাব।
গত ১৯ মে শেনজুকে (৪৪) উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এর ২২ নম্বর বাসা থেকে আটক করে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। চীনের জেনজিয়াং শহরের বাসিন্দা তিনি। পরে তাকে নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আদলতে নির্দেশনায় শেনজুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে একদিন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে ওই জালিয়াতির বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো তথ্যই পায়নি পুলিশ।