ব্রিটেনে এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ দম্পতির একটি নিয়মিত ঝগড়া করেন এবং বিচ্ছেদ চান।
দু’বছর ধরে প্রায় একুশ হাজার দম্পতির ওপর সমীক্ষা চালিয়ে রিলেট নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান নারী-পুরুষ সম্পর্কের এই উদ্বেগজনক চিত্র দিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে ২৯ লাখের মত নারী-পুরুষ অত্যন্ত তিক্ত একটি সম্পর্কের মধ্যে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছেন।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ২০১৩ সালে ১লাখ ১৫ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। অর্থাৎ বিয়ে না ভাঙলেও, আরো কয়েকগুণ নারী-পুরুষের সম্পর্ক ভঙ্গুর।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ড ডেভিড মারজোরিব্যাংকস বলছেন, এই তিক্ত সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে তাদের সন্তানেরা।
“বাবা-মায়ের ঝগড়া ঝাটি, কলহের মধ্যে যেসব ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে, তাদের মানসিক এবং শারীরিক সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তারা স্কুলে ভালো করেনা। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।”
গবেষণা বলছে প্রায় ৫০ শতাংশ দম্পতি কম-বেশি ঝগড়া ঝাটি করেন, কিন্তু সাত শতাংশের মধ্যে এই কলহ মারাত্মক রূপ নয়।
যে সব দম্পতির সন্তানদের বয়স ১৬ বছরের নীচে, তাদের মধ্যে কলহের প্রবণতা বেশি।
‘কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে’
মনোবিজ্ঞানী ইয়ান আরটিংস্টল বলছেন দম্পতিদের মধ্যে কথা কমে যাচ্ছে। বছরের পর বছর কথা না হওয়ার পর সম্পর্ক এমন তলানিতে চলে যাচ্ছে যে তা ঠেকানো সম্ভব হয়না।
এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন মোবাইল টেক্সট এবং ইন্টারনেটে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে দম্পতিরা একদিকে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে কম, অন্যদিকে সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ বাড়ছে।
“মানুষ তার অনুভূতি প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। আমরা যেন আবার একেকটি শিশুতে পরিণত হচ্ছি, যাদের ভাব প্রকাশের কোনো ভাষা নেই।”
ইয়ান আরটিংস্টলের পরামর্শ – দম্পতিদের উচিৎ সারাদিন পর অন্তত ১০ মিনিট মুখোমুখি বসে খোলামেলা কথা বলা। বিবিসি