বুধবার নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমদু আলী।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হলে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় তুরস্ক। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় তারা।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার দু’সপ্তাহ পর বাংলাদেশও তুরস্কে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠালো।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পরামর্শের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুরস্ক এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্য দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠানো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তুরস্ক তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। পাশাপাশি এই ফাঁসির নিন্দা না জানানোয় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে বিবৃতি দেন।
তবে এসব ঘটনায় তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন তৈরি হয়নি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই। সম্পর্ক স্বাভাবিক, অসুবিধা নেই।’