কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন যাতায়তের সময় পুলিশি পাহারা চেয়ে করা কে পি সাহার আবেদনটি বুধবার বিকালে কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে পাঠানো উড়ো চিঠির পর বুধবার ‘নিরাপত্তা বোধ করছি না’ এ কথা জানিয়ে পুলিশের সহায়তা চান কে পি সাহা।
বুধবার সন্ধ্যায় সমকালকে কে পি সাহা বলেন, শহরে বাদুরতলা বাসা থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে কখনও রিক্সায় আবার কখনও অটোরিক্সা নিয়ে যাতায়ত করি। ওই সময় যে কোন মুহূর্তে আমি হামলার শিকার হতে পারি বলে আশংকার কথা বুধবার সকালে আসা কোতয়ালী থানার এসআইকে জানিয়েছি। ওই এসআই মঙ্গলবার উড়ো চিঠি পাওয়ার পর কোতয়ালী থানায় করা সাধারণ ডায়রির তদন্ত করতে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, ওই আবেদনে আমি লিখেছি ‘উক্ত চিঠি পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছি এবং জীবনহানির আশংকা ও নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।’
কে পি সাহা বলেন, এজন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মুহসেনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমাদেরকে চিন্তিত করেছে। ডা: কে পি সাহা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পুলিশ সুপার মো: শাহ আবিদ হোসেন জানান, কোতয়ালী থানার সাধারণ ডায়েরির তদন্তে ওই উড়ো চিঠির মূল কপি জমা দিতে ডা: কে পি সাহাকে বলা হয়েছে। ওই চিকিৎসক আমার সাথে কথা বলেছেন।
এদিকে তনুর বাবা মো: ইয়ার হোসেনের পক্ষে পাঠানো জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উকিল নোটিশের জবাব চূড়ান্ত করে কুমিল্লার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের কাছে পাঠিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মুহসেনুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, পিপির মাধ্যমে ওই নোটিশের জবাব দেয়া হবে। আমার বক্তব্য, ডা: কে পি সাহা ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা: শারমিন সুলতানার লিখিত জবাব পিপির কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডা: কে পি সাহাও এ বিষয়ে একই জবাব দেন।
ডা: কে পি সাহা বলেন, আমি নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনটির অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সিআইডি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমএকেও দিয়েছি।