গ্রাম বাংলা ডেস্ক: একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্মদিয়ে সমালোচনামুখর মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবার এক প্রকৌশলীকে ফোয়ারার পানিতে নামিয়ে দিয়ে সুইচ টিপে ভিজিয়ে শাস্তি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক হাইটেক পার্কে পরিদর্শনে এসে এ কাণ্ড ঘটান। এ সময় ওই প্রকৌশলী পানিতে পড়ে গিয়ে নাকানি চুবানি খেয়ে উঠে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক পরিদর্শনে এসে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী পার্কের অব্যবস্থাপনা ও অপরিচ্ছন্নতা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় মন্ত্রী পার্কের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) ওবায়দুল হোসেনকে পার্কের একটি পানির ফোয়ারায় নেমে তা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন। প্রকৌশলী ওবায়দুল হোসেন ফোয়ারায় নামতে একটু দেরি হওয়ায় এক পর্যায়ে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তাকে ধমক দিলে তিনি পানিতে পা পিছলে পড়ে যান। পরে প্রকৌশলী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ফোয়ারার ময়লা পরিষ্কার করতে বাধ্য হন প্রকৌশলী ওবায়দুল হোসেন।
পার্ক ঘুরে দেখার সময় লতিফ সিদ্দকী পরিবেশের অবনতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পার্কে সকল কর্মকর্তাকে পার্ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, কালিয়াকৈর তালেবাবাদ মাইক্রোওয়েব স্টেশন পরিদর্শনকালে স্টেশনের অপরিচ্ছতা ও অব্যবস্থাপনার দায়ে জিএম রফিফুল ইসলামকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন মন্ত্রী লতিফ সিদ্দকী।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, হাইটেক পার্কের এমডি হোসনে আরা বেগম, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারী, কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, থানার ওসি ওমর ফারুক প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে একটি ডাটা সেণ্টার তৈরি করা হবে। হাইটেক পার্ক সংলগ্ন তালেবাবাদ মাইক্রোওয়েভ স্টেশনের জমি নির্ধারণ করা হয়েছে ডাটা স্টেশনের জন্য। তিনি বলেন, এখানে হাতিরঝিলের চেয়েও সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশ তৈরি করা হবে।
জিএম বরখাস্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি তার বেতন সময়মত পাচ্ছেন। অথচ দায়িত্বে অবহেলা করছেন। এরপরও কী তাকে বরখাস্ত করা অপরাধের?
এ বিষয়ে প্রকৌশলী ওবায়াদুল হোসেনের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি কোনো কথা বলেননি।