হিমালয় পর্বতে আরোহন করতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৩০ জন পর্বতারোহী। তুষার প্রদাহের কারণে এমনটি ঘটছে। অত্যাধিক উপরে গিয়ে সেখানে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগে মারা গেছেন ওই দু’জন। পর্বত শৃঙ্গের কাছাকাছি ‘মৃত্যু উপত্যকা’ বা ডেথ জোন বলে পরিচিত এলাকায় গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ভারতীয় দুই পর্বতারোহী। এত সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শুক্রবার সপ্তম বারের মতো পর্বত শৃঙ্গে সফলভাবে আরোহণ করতে পেরেছেন একজন নারী পর্বতারোহী। তিনি হলেন লাকপা শেরপা। তিনি তিব্বতের পাশ থেকে শুক্রবার পর্বত শৃঙ্গে পৌঁছাতে সক্ষম হন। একজন নারী হিসেবে এভারেস্টে সবচেয়ে বেশিবার আরোহণের রেকর্ড ছিল তারই অধীনে। এবার নিজের সেই রেকর্ডও তিনি ভেঙ্গেছেন। তিনি একজন নেপালি নারী। স্থায়ীভাবে বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, গত বছর নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এটাই হিমালয় আরোহণের প্রথম মৌসুম। ওই ভূমিকম্পের সময় এভারেস্টে মারা যান কমপক্ষে ১৮ জন। তারপর ১১ই মে পর্যন্ত এভারেস্টের নেপালি অংশ দিয়ে পর্বত শৃঙ্গে সফলভাবে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন প্রায় ৪০০ পর্বতারোহী। কিন্তু দু’জন পর্বতারোহীর মৃত্যু ও দু’জন নিখোঁজ থাকায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয়ে আরোহণের বিপদকে জোরালো করেছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার মারা গেছেন ডাচ পর্বতারোহী এরিক আরি আরনল্ড। তারপর দিন শনিবার মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ৩৪ বছর বয়সী নারী মারিয়া স্ট্রাইডোম। এ মৌসুমে তারাই প্রথম প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হলেন। নিখোঁজ দু’ ভারতীয় পর্বতারোহী হলেন পরেশ নাথ ও গৌতম ঘোষ। এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের নেপালি কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠা বলেছেন, পাহাড় বেয়ে অনেক উঁচুতে উঠলে সেখানে তুষারপাতের কারণে চারদিকে অন্ধকার দেখা যায়। এ সময় মনে হয় আরোহী অন্ধ হয়ে গেছেন। রয়েছে উচ্চতায় উছার কারণে শারীরিক নানা সমস্যা। রয়েছে অবসন্নতা। এগুলো হলো পর্বতারোহণের সবচেয়ে বড় বিপদ।