১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এক জোট হয়নি কখনো কোন ইস্যুতে। এই দুটি দলের রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে অস্থির বাংলাদেশ। তাদের আক্রমনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ২০০৭-২০০৮ সাল দুটিতে দেশ শাষন করেছে একটি অসাংবিধানিক সরকার। ওই সরকার দুই দলের দুই নেত্রীকে জেলেও নিয়েছে। কারবন্দি অবস্থায় তাদের রাখাও হয়েছে পাশাপাশি ভবনে। ওই সময়ে কথা মন করলে মনে হবে নিশ্চয়ই যে, প্রতিদিন দুই নেত্রী কি খেলেন তার বর্ননা শুনা যেত। পুলিশের পক্ষ থেকে বর্তমান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম খাবারের ম্যানুটা বলে দিতেন গনমাধ্যমে। উনি খুব সুন্দর করে দুই নেত্রী কি কি খেয়েছেন তার বলতেন মিডিয়ায়। বলা যায়, দুই নেত্রীর ম্যানুর তালিকা হাসিমুখে সুন্দর করে বলা থেকেই মনিরুল ইসলাম জনপ্রিয় হতে শুরু করেন। জেল খাটার পর দুই দলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচন হল কোনমতে। তারপর আবার সংঘাত।
সম্প্রতি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে নারায়নগঞ্জে একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করান স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান। সকল প্রচার মাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও প্রচার হয়ে যাওয়ায় বড় কান্ড বেঁধে যায়। এই ইস্যুতে দেশের অনেক মানুষ নিজেদের কান ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। সরকারও বিষয়টির তদন্ত করে। তদন্তে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার সত্যতা পায় নি সরকার। এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলছে। তো যাই হউক একটি ইস্যুতে হলেও দুই দল এক সূরে কথা বলছে। এটা না পাওয়ার মধ্যে একটি পাওয়া। এটিকে সংস্কৃতি মনে করে দুই দল চর্চা শুরু করলে কপাল লাগত আমাদের।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম