ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূল। ঝড়ে ৯ জেলায় অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল। গতকাল দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে। এর আগে শুক্রবার রাত থেকে ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে যায় অনেক এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলীয় ১৮ জেলার অন্তত ৫ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কথা জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির কারণে আজকের পূর্বনির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় গতকাল রাত থেকে সারা দেশে নৌ চলাচল শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাতজন নিহত হয়েছেন। ভোলায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। নিখোঁজ রয়েছেন আরো আটজন। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে মারা গেছেন তিনজন করে। কক্সবাজারে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এছাড়া পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও সন্দ্বীপে মারা গেছেন একজন করে। এসব এলাকায় কয়েকশ’ মানুষ আহত ও আশ্রয়হারা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকা ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এছাড়া উপকূলের আক্রান্ত জেলাগুলোতেও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রাস্তায় গাছ পড়ে অনেক স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে শুক্রবার বিকাল থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কার্যক্রম। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বন্ধ ছিল উড়োজাহাজ ওঠানামা।
শুক্রবার রাত থেকে সারা দেশে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় গতকাল বিকাল থেকে তা আবার চালু হয়।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম