ঢাকা: বিভিন্ন মহল বাংলাদেশে জঙ্গিদের উসকে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করতেই দেশ বিদেশ থেকে উসকানি দিয়ে নিস্ক্রিয় জঙ্গিদের সক্রিয় করে তোলা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও সিঙ্গাপুর আইসিপিভিটি আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ট্রেনিং অনুষ্ঠানের উদ্বোধন মন্ত্রী।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সদ্য গঠিত কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে শুক্রবার রাতেই ঢাকায় পৌঁছান সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিকাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেররিজম (আইসিপিভিটি)।
কর্মশালার উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ এখন শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটা গোটা বিশ্বের সমস্যা। বিশ্বের একেক দেশে একেক ইস্যুতে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে একটি বিশেষ মহল বাংলাদেশে জঙ্গিদের উসকে দিয়েছে। তারা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়া জঙ্গিদের নানাভাবে সক্রিয় করে দেশজুড়ে একেরপর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সম্পকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটির সক্ষমতা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই ইউনিটকে শক্তিশালী করতে যত প্রকার প্রশিক্ষণ ও কর্মশলার প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে দেশে জঙ্গিরা কোনো নাশকতা চালাতে না পারে সে জন্যই বিশেষায়িত এই ইউনিটটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ক্রিমিনালরা প্রতিনিয়ত তাদের কর্মপরিধি বাড়িয়ে চলেছে। আমরা যদি এখনো পুরাতন ধ্যান ধারণায় থাকি তাহলে আমাদের পক্ষে তাদের মোকাবেলা সম্ভব হবে না।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের যে জ্ঞান এবং প্রযুক্তি শেয়ার হবে তার মাধ্যমে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আরও শক্তিশালী হবে।’
এছারাও তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে মানুষকে যে বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করা হয়, সে সম্পর্কেও এই প্রশিক্ষণ থেকে ধারণা পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, সিটি ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর আইসিপিভিটির প্রধান ড. রোহান গুনারত্ন প্রমুখ।