পটুয়াখালী ও ভোলায় ঝড়ে তিনজন নিহত হয়েছে। ভোলায় গাছ চাপা পড়ে দুজন ও পটুয়াখালীতে ঘরের নিচে চাপা পড়ে একজন নিহত হয়। দুই জেলায় কয়েক শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। গতকাল শুক্রবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
ভোলা: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে দুজন নিহত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শ ঘর। এতে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। ঝড়ে নিহত দুজন হলেন আক্রাম হোসেন (৪৫) ও রেখা বেগম (৩৫)। দুজনের বাড়ি শশীগঞ্জ গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী রফিক সাদীর ভাষ্য, ঝড়ে তজুমদ্দিনের শশীগঞ্জ বাজারের তিন শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে। তজুমদ্দিনের ইউএনও জালাল উদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের শুকনা খাবার দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তেজতুরী বাজার, ফকিরাপুল, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সারা দেশের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কোমেনের সময় ২১ লাখ ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবারও প্রায় একই সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সরকারের সেই প্রস্তুতি রয়েছে। সারা দেশে তিন হাজার ৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।