সভায় তিনি আরো বলেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলমান বিষয়, এটা বন্ধ হচ্ছে না। একেক সরকারের আমলে এক একভাবে হচ্ছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এক ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখেছি। যা রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে হয়েছে। অথচ রাষ্ট্র অস্বীকার করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তি ও সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। শ্যামলকান্তি লাঞ্ছনার ঘটনায় সারাদেশ তার পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন সরকার বাধ্য হয়েছে তার চাকরি ফিরিয়ে দিতে এবং ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করতে। আমরা আশা করছি এখন অভিযুক্ত এমপির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তাই মনে করি, জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করে, এমন কোনো সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি নেই, যারা বাংলাদেশকে পেছনে নিতে পারে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ধ্বংস করতে পারে।
তিনি বলেন পুলিশে নতুন ৫০ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশের মধ্যে যাতে সন্ত্রাসী, জামায়াত, শিবির ঢুকতে না পারে, তা লক্ষ্য রাখতে হবে। সংখ্যালঘুর প্রতিনিধি সেখাতে বাড়াতে হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আইনমন্ত্রীর কাছে স্মারকপত্র দিয়েছি। আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন যশোরের চৌগাছা, অভয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক এবং দেশের ভাবমূর্তির বিষয়। এ ঘটনাগুলো সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।’ মতবিনিময় সভায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মমতাজ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুস শহীদ লালের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা যশোরের চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করতে যান।