গাজা যুদ্ধ জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে হামাসের

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

67580_hamas
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ফিলিস্তিনে এখন নির্বাচন হলে হামাস ব্যাপকভাবে জয়ী হবে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জনমত জরিপে বলা হয়েছে। গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাত সপ্তাহস্থায়ী যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেড়ে গেছে বলে জরিপে ফুটে ওঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর পরিবেশন করেছে।
প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চ জানিয়েছে, জরিপে দেখা যাচ্ছে যে ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টারি উভয় নির্বাচনেরই সুস্পষ্ট বিজয় লাভ করবে। উল্লেখ্য, আট বছর আগে ফিলিস্তিনে প্রথম নির্বাচন হয়েছিল। তাতেও হামাস জয়ী হয়েছিল। হামাসকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করার পর তারা গাজায় তাদের অবস্থান সুসংহত করে। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল।
জরিপে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি জানান, তারা ইসরাইলের ব্যাপারে ফাতাহ গ্রুপের শান্তি আলোচনার নীতির চেয়ে হামাসের নেয়া সশস্ত্র সংগ্রাম নীতিকেই বেশি পছন্দ করে।
জরিপে গাজা ও ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির ওপর সমীক্ষা চালানো হয়।
জরিপে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবতীর্ণ হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া ৬১ ভাগ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন। আর ফাতাহ প্রধান মাহমুদ আব্বাস পাবেন মাত্র ৩২ শতাংশ ভোট।
জবাবদাতাদের অর্ধেকের বেশি (৫৩ ভাগ) জানান, সশস্র সংগ্রাম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক হবে। মাত্র ২০ শতাংশ অহিংস পন্থার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
রামাল্লাহ থেকে পশ্চিম তীর শাসনকারী ফাতাহ শনিবার অভিযোগ করেছে যে ইসরাইলি হামলার সময় হামাস গাজায় তাদের সমর্থকদের গৃহবন্দি করে রেখেছিল, কেউ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করা হয়েছে।
২০০৭ সালের নির্বাচনে হামাস জয়ী হওয়ার পর হামাস ও ফাতাহ ২০০৭ সালে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। এতে কয়েক শ’ লোক নিহত হয় এবং তাদের মধ্যে তিক্ততা আরো বাড়ে। এর পর থেকে ফিলিস্তিনে আর কোনো জাতীয় নির্বাচন হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। তবে গত এপ্রিলে দুই পক্ষের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *