ঢাকা: আইপিএলের নবম আসরে প্রতিটি ইনিংসেই যেন নতুন চূড়ায় পা রাখছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিরাট কোহলি। সবশেষ তার ‘ব্যাটিং আক্রমণের’ শিকার হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ ম্যাচেই (১৬ মে) আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের নতুন রেকর্ড গড়েন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। এবার তার সামনে চার অঙ্কের (এক হাজার রান) হাতছানি!
ইডেন গার্ডেনসে ৫১ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ক্রিস গেইলের ২০১২ আসরে করা ৭৩৩ রানের রেকর্ড টপকে যান কোহলি। ভারতীয় টেস্ট অধিনায়কের মাইলফলকের দিনে ৩১ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ‘স্বরূপে’ ফেরেন ক্যারিবীয় ‘ব্যাটিং দানব’। কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের (৩১ বলে ৫৯) ১১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কলকাতার দেয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যটা আট বল বাকি থাকতেই টপকে যায় বেঙ্গালুরু।
১২ ম্যাচে ৭৫২ রান করে রানস্কোরারের তালিকায় সবার শীর্ষে কোহলি। ব্যাটিং গড় ৮৩.৫৫, স্ট্রাইক রেট ১৪৮.০৩। পাঁচটি অর্ধশতকের পাশাপাশি রয়েছে তিনটি শতক। কোহলিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি আইপিএলের এক আসরে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ম্যাচ তো আরো বাকি! সমান ম্যাচে তালিকার দুইয়ে কোহলির ব্যাটিং সঙ্গী এবি ডি ভিলিয়ার্স (৫৯৭)।
পয়েন্ট টেবিলে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে বেঙ্গালুরু। প্লে-অফ নিশ্চিতে নিজেদের শেষ দু’টি ম্যাচে কোহলিদের জয়ের বিকল্প নেই। বুধবার (১৮ মে) কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও ২২ মে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরু যদি প্লে-অফ নিশ্চিত করতে নাও পারে তাও অন্তত আরো দু’টি ম্যাচ খেলতে পারবেন কোহলি। আর সফল হলে অনায়াসেই হয়তো এক হাজারি রানের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করবেন ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস। চার অঙ্কের ঘরের পা রাখতে কোহলির প্রয়োজন আর ২৪৮ রান। প্লে-অফে উঠলে কমপক্ষে তিন ম্যাচ থেকে পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোহলির রান সংখ্যা ১৩৭৭। তার মধ্যে ১০ ম্যাচে অপরাজিত থাকেন। ১২টি ফিফটির পাশাপাশি রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি। এই ২৪টি ম্যাচে তার স্কোরগুলো যথাক্রমে ৯০ (অপরাজিত), ৫৯ (অপ.), ৫০, ৭, ৪৯, ৫৬ (অপ.), ৪১ (অপ.), ২৩, ৫৫ (অপ.), ২৪, ৮২ (অপ.), ৮৯ (অপ.), ৭৫, ৭৯, ৩৩, ৮০, ১০০ (অপ.), ১৪, ৫২, ১০৮ (অপ.), ২০, ৭, ১০৯, ৭৫ (অপ.)।