ঢাকা: একবার ভাবুন তো ফুটবলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসি কখনও এক ক্লাবের হয়ে খেললে কেমন হবে! ক্রিকেটে বিরাট কোহলি-এবি ডি ভিলিয়ার্স রোনালদো-মেসি। যারা কি না একই দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেন। এদের সঙ্গে যোগ করুন টি২০ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ক্যারিবিয়ান দ্বৈত্য ক্রিস গেইল। সোমবার এই তিনজনের সামনে কেকেআরের ১৮৪ রানের লক্ষ্য কোন বাধা হয়েই দাঁড়াতে পারল না।
জিততেই হবে এমন পরিস্থিতিতে কি অবলীলায় না ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতে গেল বেঙ্গালুরু। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে উঠে এলো নবম আইপিএলের রাজা বিরাটের দল। হেরেও দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগের ম্যাচগুলোতে একের পর এক ব্যর্থ হওয়া গেইল ফিরলেন স্বরূপে। স্বদেশী সুনিল নারিনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩১ বলে পাঁচ চার আর চার ছক্কায় খেলেছেন ৪৯ রানের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর উইকেট পতন বলতে ওই একটিই। ইনিংসের বাকি সময়টা ছিল শুধু বিরাট আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং প্রদর্শনী।
ইদানিং রান করাকে ডালভাতে পরিণত করা বিরাট খেলেছেন অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস পাঁচ চার, তিন ছক্কায়। ৩১ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স পাঁচ চার, তিন ছক্কায়। ৩৪ রান দিয়ে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন নারিন। সাকিব ৪ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন।
এরআগে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কেকেআর। শুরুতেই ওপেনার রবিন উথাপ্পাকে (২) হারিয়ে ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে গৌতম গম্ভিরের ব্যাট। নবম আইপিএলকে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ বানানো কেকেআর অধিনায়ক সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান মনিশ পান্ডেকে। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৭৬ রান।
গম্ভীর ৩৪ বলে সাত চারের সাহায্যে ৫১ এবং মনিশ ৩৫ বলে পাঁচ চার, দুই ছক্কায় ৫০ রান করেন। কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ পুঁজি পেয়েছে মুলত ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ড আন্দ্রে রাসেল এবং বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সৌজন্যে। শেষ অবধি রাসেল ১৯ বলে দুই চার, তিন ছক্কায় ৩৯ এবং সাকিব ১১ বলে এক চার, এক ছক্কায় ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীনাথ অরবিন্দ ৪১ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জুবেন্দ্র চাওয়াল ও ইকবাল আব্দুল্লাহ। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন বিরাট কোহলি।