ঢাকা : বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতারা।
সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. মাসাতো ওয়াতানাবে এর সঙ্গে এফবিসিসিআই’র এক আলোচনায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে। মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এফবিসিসিআই পরিচালকরা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ জাপানকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বছর দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি দশমিক ৭ শূণ্য ৫ ও মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জাপানকে আরো নিবিড়ভাবে পেতে চায়।’ এ লক্ষ্যে দেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জাপানের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাংলাদেশে জাপানের প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এছাড়াও তিনি চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে তার সফরসঙ্গী এফবিসিসিআই নেতাদের সঙ্গে জাপানের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের ‘বিজনেস মিটিং’ আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। জাইকা যেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করেছে। তাই সহজেই দুদেশের খাতভিত্তিক ব্যবসায়ীদের সভা আয়োজন করা সম্ভব বলে জানান মাতলুব আহমাদ।
এফবিসিসিআই প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বাংলাদেশে জাপানের শিল্প স্থানান্তর এবং জাপানের বাজারে আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
এছ্ড়াও এফবিসিসিআই’র বিভিন্ন সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের জ্বালানি, কৃষি ও বায়োটেকনোলজি খাতে জাপানকে বিনিয়োগে আহ্বান জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. মাসাতো ওয়াতানাবে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে আরো বেশি জাপানি সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ লক্ষ্যে তিনি দুদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মাঝে নিয়মিত ‘ডায়লগ’ আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি এফবিসিসিআই এবং জাপান বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিটি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশনকে (জেবিসিসিইসি) আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। জাইকা এবং জেট্রোকে নিয়ে জাপান দূতাবাস দুদেশের ব্যবসা উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে বলে রাষ্ট্রদূত এফবিসিসিআই নেতাদের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাপানে ৯১৫ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে এবং ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশ থেকে জাপান মূলত নিটওয়্যার পণ্য, ওভেন পণ্য, হোম-টেক্সটাইল, জুতা, চামড়াজাত দ্রব্য এবং হিমায়িত খাদ্য আমদানি করে থাকে।