মো:আলী আজগর খান পিরু:
শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাকে সহজ লভ্য করে তোলা সম্ভব। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এর কোন বিকল্প নেই। শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এম পি রোববার (১৫ মে ২০১৬) গাজীপুরে বাংলাদেশ উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএড প্রোগ্রামে শিক্ষা বিস্তরণ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বাউবি’র প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার, প্রযুক্তির মাধ্যমে তথা প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা দানের ব্যাপক কর্মসূচী এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ। আমাদের শিক্ষা পরিচালনাকারি শিক্ষকরা তা ভালভাবে আয়ত্ব করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহজভাবে পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য শিক্ষকদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করার জন্য উদ্যোগি হবেন। আর্থিক সামাজিক কারনে বা সুযোগ সুবিধার অভাব এবং বিভিন্ন স্তরে যারা ঝরে পড়ে তারা যে কোন বয়সে যে কোন স্তরে এই সুযোগ লাভ করতে পারে। প্রাথমিক থেকে সর্বচ্চো শিক্ষা লাভের এই সুযোগ বাউবি নিশ্চিত করছে। বর্তমানে বাউবি ৫ লক্ষ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী। আগামীতে ১০ লক্ষ শিক্ষার্থী এর আওতায় আসবে।
উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এডুকেশন ও টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট-২ এর সহযোগিতায় ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন দি ডেলিভারী মোড অব বিএড প্রোগ্রামের দিনব্যপী এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান। কর্মশালায় সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান বলেন একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হবে। এ লক্ষ্যে অনলাইন এডুকেশন, ই-বুক, ওয়েব রেডিও, ওয়েব টিভি, মোবাইল এ্যাপস সহ ব্লেন্ডেড এডুকেশনের সর্বোত্তম ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের মাধ্যমে মোবাইল এ্যাপসের একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। অন্যান্যের মধ্যে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, ডিজি-ডিরেক্টরেট সেকেন্ডারি এন্ড হায়ার এডুকেশন প্রফেসর ফাহিমা খাতুন ও টি কিউ আই সেকেন্ড প্রজেক্ট এর প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ জহির উদ্দীন বাবর প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। কর্মশালায় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের সহ শিক্ষামন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, স্কুল অব এডুকেশনের সকল শিক্ষক, দেশের সকল সরকারি বেসরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, নায়েম এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, প্রফেসর ও পরিচালকসহ ১৭৫ জন অংশ গ্রহন করেন।