প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, রিজার্ভ চুরির জন্য সুইফটই দায়ী। কারণ, তারা হঠাৎ করে এসে আরটিজিএফের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে সযুক্ত করে। এখান দিয়েই ম্যালওয়ার ঢোকে।
এছাড়া গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ম্যাসেজ সুইফট উদ্ধার করে দিতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
এদিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সুইফটের পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কও দায় এড়াতে পারে বলে মনে করছেন ড. ফরাসউদ্দিন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে নামে যে পাঁচটি পেমেন্ট রিকোয়েস্ট ফেডারেল রিজার্ভে গিয়েছিল তা ছিল ব্যক্তি বিশেষের অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট। সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে এ ধরনের পেমেন্ট করা হয় না।
বিষয়টিকে ফেডারেল রিজার্ভ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেনি বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর।
এছাড়া রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সরকারকে না জানানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদত্যাগী গভর্নর ড. আতিউর রহমানের ‘ভুল’ ছিল বলেও মন্তব্য করেন ড. ফরাসউদ্দিন।