ঢাকা : শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘অতিরিক্ত রোজগারের চিন্তা বন্ধ করে ক্লাসে মনযোগী হোন। কোনোভাবেই কোচিং বাণিজ্য চলবে না। প্রয়োজনে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস নেন। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার নির্মাতা আপনারা। সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে ভবিষতে লাখ টাকা হবে।’
শুক্রবার বাংলা একাডেমিতে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ে ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধ্যক্ষদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৫৩৫ জন অধ্যক্ষ অংশ নেন। অধ্যক্ষরা তাদের বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা, অসঙ্গতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একসময় দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির উদাহরণ দেয়া হতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেশনজটের আমদানি ঘটেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’
‘বর্তমান উপাচার্যের ডায়নামিক চিন্তা ভাবনায় এখন আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে কীভাবে আরো কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আশা করছি, কোনো সমস্যা থাকবে না।’ যোগ করেন মন্ত্রী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কেন্দ্র পরিচালন দপ্তর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত করা হবে। সেই লক্ষ্যে দুই বছর মেয়াদী ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত আছে। ২০১৩ সালে যারা ভর্তি হয়েছে, তাদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একদিন বেশি লাগবে না। দুই বছর পর ক্রাশ প্রোগ্রামের প্রয়োজনও পড়বে না।’
এ সময় তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
বাংলা একাডেমির সাহিত্যবিশারদ আবদুল করিম মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষরা ছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।