বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সচিব পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় একথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর বলেন, উগ্রবাদ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ উভয়ই উদ্বিগ্ন। এটিকে বাড়তে দেওয়া হবে না। তাই উগ্রবাদ দমনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় খড়া একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এটি মোকাবেলাও ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত সাড়ে তিন মাসে অপ্রতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উভয় দেশের সচিব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আশাবাদী।’
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু ছাড়াও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক জানান, আগামী অক্টোবরে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন স্রিংলা, ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের যুগ্মসচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোয়োজ্জেম আলী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।