চল না ঘুরে আসি অজানাতে!

Slider জাতীয় বাধ ভাঙ্গা মত বিচিত্র সম্পাদকীয়

images

 

চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে
আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে ।।
চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে ।।

সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মানুষ জানার জন্য উতলা হয়ে থাকেন। একটি শিশুর মানষিক বিকাশের বহি;প্রকাশ ঘটে জানার আগ্রহ থেকেই। আমরা কোথাও কিছু দেখলে বা শুনলে তা জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে যাই। প্রকৃতির কোন সুন্দর অসুন্দর সৈৗন্দর্য্য দেখলে আমরা প্রশংসা বা ঘৃনা করে তা আলোচনায় আনি। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় সুগন্ধ পেলে আমরা পুলকিত হই। আর দুঃগন্ধ পেলে নাক চেপে দ্রুত হেঁটে যাই। এই কাজ গুলো আমরা রীতিমত করি কিন্তু তা অনুভব করে দেখি না, কেন এমন করতে হয় আমাদের।

কবির সৃষ্টি থেকে আমরা জানি, “দেখিতে  গিয়েছি পর্বত মালা দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দু’ পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু”।  এই কবিতাটি প্রিয় নয় এমন মানুষ পাওয়া কষ্ট হবে। তবে এই কবিতা যাদের প্রিয় তারা কি এর মর্ম অনুধাবন করেছেন কখনো? খোঁজ নিলে জ্ঞানী মানুষ গুলোর সংখ্যা হয়ত হবে।

এটা ঠিক আমরা খারাপ বলতে অভ্যস্থ। কিন্তু ভাল হতে চাই না। অভ্যাসও করি না।  আমরা অপরকে উপদেশ দিতে পারি কিন্তু নিজেকে নির্দেশিত করতে অক্ষম। নিজর স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় এমন কাজকে খারাপ কাজ মনে করে ওই খারাপ কাজের প্রতিবাদ করি। কিন্তু ওই কাজটি খারাপ না ভাল তা জানার চেষ্টা করি না। নিজেকে জানার আগ্রহ নেই কিন্তু অন্যকে জানার আগ্রহে ব্যাকুল থাকি সব সময়। এটা আমাদের অভ্যাস। এই অভ্যাস থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। নিজেকে সংশোধন না করে অন্যকে সংশোধন হতে বলা একটি কু-অভ্যাস। আমি কি উপদেশ দেয়ার যোগ্য কি না তা না জেনেই উপদেশ দিচ্ছি এমন জনকে যিনি আমাকে উপদেশ দিলে আমি ভাল হতে পারি। এই ক্ষেত্রে আমি কখন যে উপেদেশ দেয়ার অযোগ্য হয়ে উপযাজক হয়ে যাচ্ছি তার খেয়ালও করছি না। 

তাই অজানাকে জানার আগে নিজেকে জেনে নেয়া ভাল। নিজেকে না জেনে অন্যকে জানতে চাওয়া বোকামী। এমন ভুল মানুষকে অন্যায়ের দিকে নিয়ে যায়। তাই কোন কথা বা কাজ করার আগে নিজের হাঁড়ির খবর নেয়া উচিত। কারণ হাঁড়ি বা  ঝুলিতে কিছু আছে কিনা! না জানা কাজ করা ও অন্যকে করতে উপদেশ দেয়া এখন  সামিাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যাধি। এই ব্যাধী মহামারী আকারে আসছে। যদি সতর্ক হতে না পারি তবে অবক্ষয়মান নৈতিক স্খলন আমাদের পুরোটাই অপরাধী করে ফেলবে।  এতে দেশ ও সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে কাউকে দয়া করে বিনষ্টের কাজটি করতে হবে না।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *