১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে দন্ডিত শীর্ষ নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে দেশ একটি নতুন পথে যাত্রা করেছে। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও জাতাীয় পার্টির কতিপয় নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে। অনেক মামলার তদন্ত চলছে। আরো মামলা হচ্ছে। এ সব মামলায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। দল মত নির্বিশেষে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে এটা আমাদের বিশ্বাস।
জাতি আশা করে, ১৯৭১ সালে দেশের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল ও যারা বাংলাদেশ চায়নি তাদের প্রত্যেকের বিচার হউক। এই বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এটাই চাই।
জাতির প্রত্যাশা, যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় আমরা কেউ যেন আইন ও সংবিধানের বত্যয় না ঘটাই সে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয় এমন কাজ না করাই ভাল। এমন কোন কর্মসূচিও দেয়া উচিত নয় যেন সংবিধান ও আইন অমান্য হয়ে যায়। একটি দেশের শান্তির প্রয়োজনে এমন কিছু করা ঠিক হবে না যেন অশান্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। আইন সংবিধান বা কোন ধর্ম এটা অনুমোদন দেয় না যে মানুষকে কষ্ট দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তাই আমাদের নতুন অগ্রযাত্রায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে নতুন পথে হাঁটতে গিয়ে আমাদের যেন ভুল না হয়। যদি হয়, তবে পথ হারাতে হবে এটা নিশ্চিত।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম