সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আর নেই। বুধবার ভোররাতে ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান।
গারো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রমোদ মানকিন জাতীয় সংসদে ময়মনিসংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন চার বার। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৯৩৯ সালের ৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক গারো খ্রিস্টান পরিবারে প্রমোদ মানকিনের জন্ম।
প্রমোদ মানকিন ১৯৬৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড এবং ময়মনসিংহ ‘ল’ কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন।
ছাত্র ও কর্মজীবনের শুরু থেকেই প্রমোদ মানকিন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে দিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি।
সংগঠক হিসেবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রমোদ মানকিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রমোদ মানকিন ১৯৯১,২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হন প্রমোদ মানকিন। ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সবশেষ তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।