গ্রাম বাংলা ডেস্ক: শেরপুরে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে নগ্ন করে যৌন নিপীড়ন ও পর্ণোগ্রাফি ভিডিও ধারণ করে বখাটেরা। এবং তা ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী শফিকুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল এলাকার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক রবিবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নালিতাবাড়ীর নববিবাহিত এক দম্পতি গত ১৬ই জুলাই দুপুরে স্থানীয় মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে যায়। ওইসময় স্থানীয় ৩ বখাটে শফিকুল ইসলাম (২৭), আব্দুস সালাম (২৫) ও আমির হোসেন ওরফে মনু মিয়া (২৬) তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে ওয়াচ টাওয়ারের উত্তর দিকে টিলায় বসে থাকাবস্থায় দম্পতিদের জিম্মি করে তারা। একপর্যায়ে উভয়কে বিবস্ত্র করে যৌন নিপীড়নের দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে। এবং নববধূর স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে বখাটেরা নৃত্য করতে থাকলে সে চিৎকার দিয়ে টিলা থেকে লাফ দেয়। এ অবস্থায় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি অনেকটা চেপে গিয়ে বাড়ি ফেরে দম্পতি। কিন্তু একই দিন রাতে লিটন মিয়া (৩৫) নামে বখাটেদের এক সহযোগি মোবাইলে জানায়, তাকে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে দেয়া হবে। দাবি না মেটায় ওই পর্ণোগ্রাফির ভিডিও ক্লিপটি তারা বিভিন্ন কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনায় একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে তার স্বামী সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে শফিকুলসহ ৩ বখাটে ও তাদের সহযোগি লিটনকে আসামী করে ১৩ই আগস্ট নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নববধূ। মামলার ১৬ দিন পর শফিকুলকে গ্রেপ্তার করলেও অপর ২ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, চাঞ্চল্যকর ওই মামলার পলাতক থাকা আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।