ষোড়শ সংশোধনী: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

Slider বাংলার আদালত
hight-court1_210863
বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার এই আপিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

তিনি জানান, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ আপিলের শুনানি হতে পারে।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সুপ্রিমকোর্টের ৯জন আইনজীবী ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানির পর রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

ওই রুলের ওপর গতবছর ২১ মে শুনানি শুরু হয়। ওইদিন আদালত মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র পাঁচ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। এরা হলেন-ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি। তারা আদালতে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন— বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

রায়ে বলা হয়, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী। সংসদকর্তৃক বিচারপতি অপসারণের বিধান একটি দুর্ঘটনা মাত্র।

হাইকোর্টের এই রায়ের পর বৃহস্পতিবারই সংসদে আইনমন্ত্রী বলেন, ষোড়শ সংশোধনী সংবিধান পরিপন্থী নয়। এছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *