রোববার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে সাব রেজিস্ট্রারদের বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আদালত যে রায় দিয়েছেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্যরা যে কথাবার্তা বলেছেন, তাতে সংসদ ও আদালত মুখোমুখি বলে আমি মনে করি না।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই রায় হওয়ার পর সংসদ সদস্যরা আবেগের বশবর্তী হয়ে হয়তো সংসদের ভেতরে কিছু কথা বলেছেন। তাদের এই কথায় কারো কারো আঘাত লাগতে পারে। কিন্তু এটা আদালত অবমাননা নয়। কারণ সংসদের ভেতরে যেসব কথাবার্তা হয় তা আদালত অবমাননার ভেতরে পরে না।’
আদালতের রায় এবং এ নিয়ে সংসদের ভেতরে প্রতিক্রিয়া দেশের গণতন্ত্রের নয় হুমকি কি-না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, এটিতে তিনি হুমকিস্বরূপ মনে করেন না।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল। কিন্তু ৭৭-৭৮ সালে সামরিক সরকারের সময় এটা সংসদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। আমরা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে এটিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত এটাকে গ্রহণ করে নাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি সংসদের ভেতরে এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছি। কারণ সংসদের ভেতরে কোনো কথা বা বক্তব্য দেওয়া হলে তা আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে না। তাই আমি মনে করি, আমার এই বক্তব্য বা সংসদে যারা এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন তা আদালত অবমাননা নয়।’
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে এসব বিষয় নিয়ে ডিবেট হতেই পারে। সেটাকে বিচার বিভাগ ও আদালতের মুখোমুখি অবস্থান বলা যাবে না।’
নিবন্ধন পরিদফতরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব প্রমুখ।
সাতদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৪৫ জন সাব রেজিস্ট্রার অংশ নেন।