গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করায় খালেদা জিয়াকে ‘বিকৃত মানসিকতার’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন না। যদি করতেন, তাহলে ১৫ আগস্ট আমার বেদনার দিন তিনি উত্সব করতে পারতেন না।’
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ সভা শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর পাকিস্তানপ্রীতি এখনো যায়নি। আপনার এত প্রীতি থাকলে সেখানে চলে গেলেই হয়।’ তিনি বিএনপি নেত্রীকে ‘পাকিস্তানের দোসর’ বলে অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় অনেকে আমাদের ত্রুটি টোকান। যতই আমাদের ত্রুটি টোকান না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোগে নয়, ত্যাগের মাধ্যমে মহত্ কিছু অর্জন করা যায়। এটাই আমাদের ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের এ ত্যাগের আদর্শ শিখিয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কেবল বঙ্গবন্ধুর সন্তানই নই, তাঁর আদর্শের সৈনিক। ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমার ওপর গুলি, বোমা ও গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ১৫ আগস্ট আমার সব স্বজন হারানোর পরও দেশে ফিরে এসেছি। আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না।’
খালেদাকে ‘বেয়াদব’ ও ‘অসভ্য’ বললেন সেলিম
আলোচনা সভায় ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘বেয়াদব’ ও ‘অসভ্য’ বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘তাঁর যদি বিবেক থাকত, তাহলে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করতেন না।’
তারেক রহমানকে ‘কুলাঙ্গার’ আখ্যায়িত করে শেখ সেলিম বলেন, ‘সে বঙ্গবন্ধু নিয়ে কথা বলে। ওতো বঙ্গবন্ধুর চুলেরও সমতুল্য না।’ সাহস থাকলে দেশে ফিরে আইনের মুখোমুখি হতে তারেক রহমানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি।
এর আগে বক্তব্য দেন সাহারা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন।